ইজরায়েলের পণ্য কি কি? ইজরাইলি পণ্যের তালিকা
অনেকেই এক দুই দিনের ব্যবধানে বিশ্বাস করা শুরু করেছেন, যেসব পণ্য বয়কটের কথা বলা হয়েছে সেগুলোর সাথে ইসরাইলের কোন সম্পর্ক নেই। তাই অনেকে আবার কোকের লোভ সামলাইতে না পেরে তিন চার ঢোকো দিয়েছেন...
জ্বী
ভাই জায়নবাদীদের প্রোপাগান্ডা ষড়যন্ত্রের মধ্যে পরে আপনি আবারো পান করলেন
ফিলিস্তিনি ভাইয়ের রক্ত... কেন কীভাবে এগুলো পন্য উৎপাদনকারী বা ব্রান্ড
নাম ধারী কোম্পানী ইসরাইলের হয়ে ফিলিস্তিনিদের অত্যাচারে সাহায্য করছে তা
জেনে নেই-
১। Coca-Cola Company
(Sprite,Coca-Cola,Diet Coke,Fanta etc)
কোকাকোলা কোম্পানি এবং ইজরাইল: কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কোকাকোলা কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে ইজরাইলের সাথে জড়িত।
১৯৯৬ সাল থেকে: কোকাকোলা কোম্পানি ইজরাইলের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
১৯৯৭ সালে: ইসরাইলের প্রতি ৩০ বছরের দীর্ঘস্থায়ী সমর্থনের জন্য কোম্পানিকে "ইজরাইল ট্রেড অ্যাওয়ার্ড" দেওয়া হয়েছিল।
২০০৮ সাল থেকে: কোকাকোলা নিয়মিতভাবে "ফিলিস্তিনের দখলকৃত ভূমিতে" বসতি স্থাপনের জন্য অর্থায়ন প্রদান করছে।
২০০৯ সালে: কোকাকোলা ফিলিস্তিনী অধিকৃত এলাকায়, গোলান হাইটসে একটি ফার্মহাউস স্থাপন করে।
এই সম্পৃক্ততা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে:
অনেকেই ইজরাইলের দখলকৃত ভূমিতে কোকাকোলার কার্যক্রমকে বয়কট করে।
কোম্পানিটি ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
কোকাকোলা এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে এবং বলেছে যে তারা "মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
কোকাকোলা কোম্পানি এবং ইজরাইলের মধ্যে সম্পর্ক জটিল এবং বিতর্কিত। কোম্পানির কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং এটি সম্পর্কে আপনার নিজস্ব মতামত গঠন করার জন্য আপনার নিজের গবেষণা করা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও তথ্যের জন্য:
বয়কট কোকাকোলা ওয়েবসাইট: https://cokeboycott.com/
কোকাকোলা কোম্পানির ওয়েবসাইট: https://www.coca-colacompany.com/
ইজরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত সম্পর্কে বিবিসি নিউজ নিবন্ধ: https://www.bbc.com/news/topics/c207p54m4rqt
২। Nestle
(kitkat, L'Oréal & Maggi)
নেসলে এবং ইজরাইল: কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নেসলে, বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি, ইজরাইলে একটি উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ধারণ করে।
মালিকানা:
নেসলে ইসরাইলি খাদ্য কোম্পানি ওসেম ফুডের 58.3% মালিক।
ওসেম ফুডের মূল্য প্রায় 900 মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পুরস্কার:
1998 সালে, নেসলে চেয়ারম্যান পিটার ব্রাবেক-লেমাথে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কাছ থেকে জুবিলী পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অবস্থান:
নেসলের ফিলিস্তিনী দখলকৃত ভূমিতে 9 টি কারখানা রয়েছে।
বিতর্ক:
নেসলের ইজরাইলে কার্যক্রম বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনী অঞ্চলে তার কারখানাগুলির কারণে।
কিছু লোক নেসলেকে বয়কট করেছে, ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলের দখলদারিত্বকে সমর্থন করার অভিযোগে।
নেসলে এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে এবং বলেছে যে এটি "মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
নেসলে এবং ইজরাইলের মধ্যে সম্পর্ক জটিল এবং বিতর্কিত। কোম্পানির কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং এটি সম্পর্কে আপনার নিজস্ব মতামত গঠন করার জন্য আপনার নিজস্ব গবেষণা করা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও তথ্যের জন্য:
নেসলে বয়কট ওয়েবসাইট: https://www.nestle.com/ask-nestle/our-company/answers/nestle-boycott
নেসলে কোম্পানির ওয়েবসাইট: https://www.nestle.com/
ইজরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত সম্পর্কে বিবিসি নিউজ নিবন্ধ: https://www.bbc.com/
৩। McDonalds
ম্যাকডোনাল্ডস, ইহুদি সংযুক্ত তহবিল এবং ফিলিস্তিন
ম্যাকডোনাল্ডস এবং ইহুদি সংযুক্ত তহবিলের সম্পর্ক:
প্রধান স্পন্সর: ম্যাকডোনাল্ডস, যদিও বাংলাদেশে সরাসরি উপস্থিত নেই, ইহুদি সংযুক্ত তহবিল এবং ইহুদি ফেডারেশনের একটি প্রধান কর্পোরেট স্পন্সর।
ইহুদি সংযুক্ত তহবিলের লক্ষ্য: তহবিলটি "ইসরায়েলের জন্য আমেরিকান সামরিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সমর্থন বজায় রাখা; ইসরায়েল সম্পর্কে মিডিয়া কভারেজ পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনে প্রতিক্রিয়া জানানো" -এর জন্য কাজ করে।
অর্থায়ন: তহবিলটি "পার্টনারশিপ টু ইসরায়েল" প্রোগ্রামের মাধ্যমে কিরিয়াত গাতের উন্নয়ন এবং সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপনের প্রচারের জন্য প্রতি বছর $1.3 মিলিয়ন প্রদান করে।
ম্যাকডোনাল্ডসের সমালোচনা:
ফিলিস্তিনীদের প্রতি বৈষম্য: কিছু লোক ম্যাকডোনাল্ডসকে ফিলিস্তিনীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং ইসরায়েলের অধিকৃত ভূমিতে বসতি স্থাপনের সমর্থনের জন্য সমালোচনা করে।
বয়কট: ম্যাকডোনাল্ডসের ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের কারণে কিছু লোক কোম্পানিটিকে বয়কট করেছে।
ম্যাকডোনাল্ডসের প্রতিক্রিয়া:
নিরপেক্ষতা: ম্যাকডোনাল্ডস বলেছে যে এটি কোনও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িত নয় এবং সমস্ত গ্রাহকদের সাথে সমান আচরণ করে।
দাতব্য প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা: কোম্পানিটি আরও বলেছে যে এটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলির তাদের নিজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণের এবং তহবিল বিতরণের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।
উপসংহার:
ম্যাকডোনাল্ডস এবং ইহুদি সংযুক্ত তহবিলের মধ্যে সম্পর্ক জটিল এবং বিতর্কিত। কিছু লোক মনে করে যে ম্যাকডোনাল্ডস ফিলিস্তিনীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং ইসরায়েলের অধিকৃত ভূমিতে বসতি স্থাপনের সমর্থন করে, অন্যরা মনে করে যে কোম্পানিটির দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলির তাদের নিজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণের অধিকার রয়েছে।
মনে রাখবেন:
এই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার নিজস্ব গবেষণা করা এবং সমস্ত উপলব্ধ তথ্য বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
৪। Starbucks Coffee
Howard
Schultz, স্টারবাকসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী, যার
নিজএর এই কোম্পানীতে ৩১.৬ মিলিয়ন শেয়ার আছে একজন সক্রিয় জায়নবাদী। ১৯৯৮
সালে তাকে তার সক্রিয়তার জন্য Jerusalem Fund of Aish HaTorah পুরস্কৃত করে
"The Israel 50th Anniversary Friend of Zion Tribute Award" পুরস্কারে,
কারন এই জায়নবাদী দেশ প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা ছিল "playing a key role in
promoting close alliance between the United States and Israel"
স্টারবাকস কফি এবং ইসরায়েল
স্টারবাকসের সাথে জড়িত কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি এবং তাদের ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক:
হাওয়ার্ড শুল্টজ: স্টারবাকসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সিইও, একজন সক্রিয় জায়নবাদী। ১৯৯৮ সালে তিনি "ইসরায়েলের ৫০তম বার্ষিকী বন্ধু অফ জায়ন ট্রিবিউট অ্যাওয়ার্ড" পেয়েছিলেন।
মিচেল রিচম্যান: স্টারবাকসের গ্লোবাল কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইসরায়েলের বন্ধু এবং ইহুদি ভার্চুয়াল লাইব্রেরির বোর্ড সদস্য।
স্ট্যানলি ফিশার: স্টারবাকসের বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের সদস্য, ইসরায়েলের সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং ব্যাংক অফ ইসরায়েলের সাবেক গভর্নর।
স্টারবাকসের ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক:
স্টোর: স্টারবাকসের বর্তমানে ইসরায়েলে ৮০ টিরও বেশি স্টোর রয়েছে।
দান: কোম্পানিটি ইহুদি সংস্থা এবং কারণগুলিকে দান করে, যার মধ্যে রয়েছে জেরুজালেম ফান্ড অফ আইশ হাতোরাহ এবং আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি।
বিতর্ক: স্টারবাকস ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডে তার কার্যক্রম এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতে তার অবস্থানের জন্য সমালোচিত হয়েছে।
স্টারবাকসের প্রতিক্রিয়া:
কোম্পানিটি বলেছে যে এটি রাজনীতিতে জড়িত নয় এবং সমস্ত গ্রাহকদের সাথে সমান আচরণ করে।
এটি আরও বলেছে যে এটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলির তাদের নিজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণের এবং তহবিল বিতরণের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।
উপসংহার:
স্টারবাকস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক জটিল এবং বিতর্কিত। কিছু লোক মনে করে যে কোম্পানিটি ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতকে সমর্থন করে, অন্যরা মনে করে যে এটি একটি ব্যবসা যা কেবল মুনাফা অর্জন করার চেষ্টা করছে।
৫। Danon
ডানোন এবং ইসরায়েল
ডানোন-স্ট্রস অংশীদারিত্ব:
মালিকানা: ইসরায়েলি কোম্পানি স্ট্রস ডানোনের 30% শেয়ারের মালিক।
ইতিহাস: এই অংশীদারিত্ব 1998 সাল থেকে চলছে।
ডানোনের ইসরায়েলে কার্যক্রম:
কারখানা: ডানোনের ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে যেখানে তারা দুগ্ধজাত, উদ্ভিজ্জ-ভিত্তিক এবং বিশেষ পুষ্টি পণ্য উৎপাদন করে।
বাজার: ডানোন ইসরায়েলি বাজারে একটি প্রধান খেলোয়াড়।
বিতর্ক:
ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডে কার্যক্রম: কিছু লোক ডানোনকে ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডে তার কার্যক্রমের জন্য সমালোচনা করেছে, যুক্তি দিয়েছে যে এটি বসতি স্থাপনকে সমর্থন করে।
মানবাধিকার: কিছু লোক ডানোনকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সরবরাহ করার জন্যও সমালোচনা করেছে, যা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত।
ডানোনের প্রতিক্রিয়া:
ডানোন বলেছে যে এটি আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে এবং ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডে তার কার্যক্রম বসতি স্থাপনকে সমর্থন করে না।
কোম্পানিটি আরও বলেছে যে এটি মানবাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সরবরাহ করে না।
উপসংহার:
ডানোন এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক জটিল এবং বিতর্কিত। কিছু লোক মনে করে যে কোম্পানিটি ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমর্থন করে, অন্যরা মনে করে যে এটি একটি ব্যবসা যা কেবল মুনাফা অর্জন করার চেষ্টা করছে।
অতিরিক্ত তথ্য:
ডানোন এবং ইসরায়েল https://www.danone.com/
ডানোন কি ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডে বসতি স্থাপনকে সমর্থন করে? https://www.danone.com/content/dam/corp/global/danonecom/investors/en-sustainability/reports-and-data/cross-topic/urd-chapters/chapter5.4peopleURD22.pdf
ডানোন এবং মানবাধিকার https://www.danone.com/content/dam/corp/global/danonecom/about-us-impact/policies-and-commitments/en/2022/danone-human-rights-policy-2022.pdf
৬। Motorola
ফিলিস্তিনী ভাই বোনদের নির্মম্ভাবে হত্যা করতে প্রতক্ষ্যভাবে সাহায্য করছে এই মটোরোলা কোম্পানী ইসরাইলী আর্মি IDF কে সামগ্রিক কারীগড়ি সহায়তা দিয়ে। Motorola এর প্রধান কারখানা ইসরাইলে এবং সেখানে সহ সারা বিশ্বে ৬০০০ যায়নবাদী ইহুদী নির্বাহী কাজ করে। এবং শুধু ইসরাইলেই এই কোম্পানীর বার্ষিক লেনদেন ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মটরোলা ইসরাইলী আর্মিকে fuses for aircraft bombs and guided missiles; military encrypted comms systems with transportable units which deploy with the army in to the battle field; advanced radar/thermal camera surveillance systems for the settlements; metal detection gates used at checkpoints; and a cellular network tailored for the settlements সহ সকল কারিগড়ি সহায়তা প্রদান করে।
মটোরোলা কোম্পানী এবং ইসরাইলী আর্মি IDF-এর সাথে কারীগরি সহায়তা:
মটোরোলা কোম্পানী দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলী আর্মি IDF-এর সাথে কাজ করছে এবং তাদের বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। এর মধ্যে রয়েছে:
যোগাযোগ ব্যবস্থা: মটোরোলা IDF-এর জন্য বিভিন্ন ধরণের যোগাযোগ সরঞ্জাম সরবরাহ করে, যার মধ্যে রয়েছে রেডিও, মোবাইল ফোন এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই সরঞ্জামগুলি IDF-কে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে এবং তাদের অপারেশন সমন্বয় করতে সহায়তা করে।
তথ্য প্রযুক্তি: মটোরোলা IDF-এর জন্য বিভিন্ন ধরণের তথ্য প্রযুক্তি সমাধান সরবরাহ করে, যার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্কিং সরঞ্জাম এবং সাইবার নিরাপত্তা সমাধান। এই সমাধানগুলি IDF-কে তাদের ডেটা পরিচালনা করতে, তাদের সিস্টেমগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে এবং তাদের মিশনগুলি সমর্থন করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য অ্যাক্সেস করতে সহায়তা করে।
সুরক্ষা ব্যবস্থা: মটোরোলা IDF-এর জন্য বিভিন্ন ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরবরাহ করে, যার মধ্যে রয়েছে ভিডিও সার্ভেইলেন্স সিস্টেম, অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং অস্ত্র সনাক্তকরণ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাগুলি IDF-কে তাদের স্থাপনাগুলি সুরক্ষিত করতে, অনুপ্রবেশকারীদের থেকে রক্ষা করতে এবং তাদের সৈন্যদের নিরাপদ রাখতে সহায়তা করে।
মটোরোলা IDF-এর সাথে তার সম্পর্ককে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এবং ইসরাইলের নিরাপত্তায় অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোম্পানি IDF-এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে থাকে এবং তাদের চাহিদা পূরণের জন্য নতুন এবং উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি করতে থাকে।
মটোরোলা এবং IDF-এর মধ্যে সহযোগিতার কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ:
2022 সালে: মটোরোলা IDF-এর জন্য একটি নতুন মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা সরবরাহ করে যা যুদ্ধক্ষেত্রে উন্নত কভারেজ এবং কানেক্টিভিটি প্রদান করে।
2021 সালে: মটোরোলা IDF-এর জন্য একটি সাইবার নিরাপত্তা সমাধান সরবরাহ করে যা তাদের নেটওয়ার্কগুলিকে হ্যাকিং এবং অন্যান্য সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা করে।
2020 সালে: মটোরোলা IDF-এর জন্য একটি ভিডিও সার্ভেইলেন্স সিস্টেম সরবরাহ করে যা তাদের স্থাপনাগুলির চারপাশে 24/7 নজরদারি প্রদান করে।
মটোরোলা-IDF সম্পর্ক: বিতর্ক এবং সমালোচনা
মটোরোলা কোম্পানি এবং ইসরাইলি আর্মি IDF এর মধ্যে সহযোগিতা, যেমনটি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, বিতর্ক এবং সমালোচনার জন্ম দেয়। এখানে কয়েকটি কারণ রয়েছে:
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত: IDF ফিলিস্তিনের সাথে দীর্ঘদিনের সংঘাতে জড়িত। সমালোচকরা মনে করেন যে মটোরোলা IDF-কে সামরিক সুবিধা দেয় এমন প্রযুক্তি সরবরাহ করে, ফিলিস্তিনদের অধিকার লঙ্ঘনে সহায়তা করে।
মানবাধিকার লঙ্ঘন: কিছু সমালোচক মনে করেন যে IDF ফিলিস্তিনদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। মটোরোলাকে এই লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করা হয়, কারণ তারা IDF-কে এসব কাজ সম্পাদনে সহায়তা করে।
নিরস্ত্রীकरणের আহ্বান: কিছু লোক মনে করে যে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত শেষ করার জন্য IDF-কে নিরস্ত্রীकरण করা উচিত। মটোরোলাকে IDF-কে সামরিক ক্ষমতা প্রদানের মাধ্যমে এই লক্ষ্যে বাধা দেওয়ার জন্য সমালোচনা করা হয়।
মটোরোলা'র অবস্থান:
মটোরোলা দাবি করে যে তারা IDF-কে কেবল প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করে এবং তাদের পণ্য কোনো নির্দিষ্ট সামরিক অভিযানে ব্যবহার করা হয় না তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। কোম্পানি এটিকে একটি জটিল বিষয় বলে মনে করে এবং ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সাথে সাথে মানবাধিকার সমুন্নত রাখার গুরুত্বকে স্বীকার করে।
উপসংহার:
মটোরোলা এবং IDF এর মধ্যে সহযোগিতা একটি জটিল বিষয়। নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্भावনার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এই বিষয়ে আপনি আরও জানার আগ্রহী হলে, নিরস্ত্রীকরণ বা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য খবরের উৎসগুলি পরীক্ষা করতে পারেন।
৭। Nokia
এতা আর বয়কট লিস্টে নেই, কারন তার ইসরাইলী অংশ আর কারখানা ইসরাইলী কোম্পানী BlueRun কিনে নিয়েছে।
নোকিয়া বয়কট তালিকা থেকে বাদ: একটি ব্যাখ্যা
আপনার বক্তব্যটি সঠিক নয়। নোকিয়া এখনও বয়কট তালিকায় রয়েছে।
২০১৪ সালে, নোকিয়ার ইসরাইলী অংশ, নোকিয়া-সিমেন্স নেটওয়ার্কস (NSN), ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের বসতি স্থাপনের জন্য প্রযুক্তি সরবরাহ করার জন্য সমালোচিত হয়েছিল। এর ফলে, বয়কট, বিচ্ছিন্নতা এবং নিষেধাজ্ঞা আন্দোলন (BDS) নোকিয়াকে বয়কট করার আহ্বান জানায়।
২০১৬ সালে, নোকিয়া NSN কে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে বিক্রি করে। এই বিক্রির পরেও, BDS নোকিয়াকে বয়কট করা চালিয়ে যায়, কারণ তারা মনে করে যে নোকিয়া এখনও ইসরাইলি বসতি স্থাপনের সাথে তার সম্পৃক্ততার জন্য দায়ী।
২০২০ সালে, নোকিয়া ইসরাইলী কোম্পানি BlueRun Ventures কে কিনে নেয়। BlueRun Ventures ইসরাইলী সরকার এবং সামরিক বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন একটি কোম্পানি। এই অধিগ্রহণের ফলে BDS নোকিয়ার বিরুদ্ধে তার বয়কট আরও জোরদার করে।
বর্তমানে, নোকিয়া বয়কট তালিকায় রয়েছে কারণ:
তারা অতীতে ইসরাইলী বসতি স্থাপনের জন্য প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে।
তারা এখনও ইসরাইলী কোম্পানির সাথে ব্যবসা করে যার সরকার এবং সামরিক বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
নোকিয়া বয়কট তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে কিনা তা এখনও দেখার বাকি। BDS তাদের বয়কট তুলে নেওয়ার জন্য নোকিয়ার কাছ থেকে কিছু পদক্ষেপ চায়, যার মধ্যে রয়েছে:
ইসরাইলী বসতি স্থাপনের সাথে তার সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করা।
ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
BDS-এর সাথে অর্থপূর্ণ আলোচনায় জড়িত হওয়া।
নোকিয়া এই দাবিগুলি মেনে নেবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
৮। Intel
এই কোম্পানী তাদের নিজেদের কারখানা গড়ে তুলেছে ফিলিস্তিনের থেকে দখলকৃত ভূমিতে, ৮০০০ ইসরাইলী নির্বাহী ও কর্মকর্তা কাজ করেন সেখানে। তাদের বার্ষিক লেনদেন হয় ইস্রাইলী সরকারের সাথে ২০.৫ বিলিয়ন ডলার।
ইন্টেল এবং ইসরায়েলের সাথে তাদের সম্পর্ক:
ইন্টেল একটি মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি যা কম্পিউটার প্রসেসর এবং সম্পর্কিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি করে। তাদের ইসরায়েলে বেশ কিছু কারখানা এবং গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে, যার মধ্যে একটি পশ্চিম তীরে অবস্থিত, যা ফিলিস্তিনিরা দখলকৃত ভূমি বলে মনে করে। এই কারখানাটিতে প্রায় 8,000 ইসরায়েলি কর্মী কাজ করে এবং ইসরায়েলি সরকারের সাথে এর বার্ষিক লেনদেন 20.5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইন্টেলের ইসরায়েলে উপস্থিতি বিতর্কিত। কিছু লোক মনে করে যে কোম্পানিটি ইসরায়েলি অধিকারকে সমর্থন করে কারণ এটি দখলকৃত ভূমিতে কারখানা পরিচালনা করে। অন্যরা যুক্তি দেয় যে ইন্টেল অর্থনৈতিক সুযোগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সরবরাহ করে যা উভয় ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের উপকার করে।
ইন্টেল দাবি করে যে তারা একটি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ কোম্পানি এবং তারা ইসরায়েল বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে কোনও পক্ষ নেয় না। তারা বলে যে তারা ইসরায়েলে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে কারণ এটি তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার এবং তাদের সেখানে দক্ষ কর্মী এবং প্রযুক্তিগত অবকাঠামো রয়েছে।
ইন্টেলের ইসরায়েলে উপস্থিতি সম্পর্কে বিতর্ক সম্ভবত অব্যাহত থাকবে। এই ইস্যুটি জটিল এবং এর কোন সহজ সমাধান নেই।
৯। IBM
ফিলিস্তিনী
দখলকৃত ভূমি হাইফাতে IBM তাদের R&D প্রতিষ্ঠা করেছে। এর সিনিয়র ভাইস
প্রেসিডেন্ট Lawrence Ricciardi একজন জায়নবাদী এবং তার কাছে এই ভুমী হলো
মূল্যবান। America-Israel Friendship League Partners for Democracy Awards
প্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠান ২০০২ সালে
IBM: হাইফা, ফিলিস্তিনী দখলকৃত ভূমিতে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র
IBM হাইফায়, ফিলিস্তিনী দখলকৃত ভূমিতে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এই সিদ্ধান্ত বিতর্কিত, কারণ অনেকেই মনে করেন এটি ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে বৈধতা দেয়।
কেন্দ্রটি স্থাপনের সময়, IBM এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, Lawrence Ricciardi, বলেছিলেন যে হাইফা "IBM-এর জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ"। তিনি আরও বলেছিলেন যে কেন্দ্রটি "আমাদেরকে ইসরায়েল এবং আশেপাশের অঞ্চলের প্রতিভাবান প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে"।
Ricciardi একজন জায়নবাদী, এবং তিনি ইসরায়েলের অধিকারে বিশ্বাস করেন। তিনি America-Israel Friendship League Partners for Democracy Awards পেয়েছেন।
কেন্দ্রটি ২০০২ সালে স্থাপিত হয়েছিল এবং তখন থেকে এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এতে কয়েকশত কর্মী রয়েছে। কেন্দ্রটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং সাইবার নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা করে।
IBM এর হাইফা কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত বিতর্কিত। কিছু লোক মনে করেন এটি ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে বৈধতা দেয় এবং IBM কে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে সমর্থন করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি বিকাশে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ করেছে। অন্যরা যুক্তি দিয়েছে যে কেন্দ্রটি অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সহযোগিতা প্রচার করবে।
IBM বলেছে যে এটি রাজনীতিতে জড়িত নয় এবং হাইফা কেন্দ্রটি শুধুমাত্র গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য।
১০। Times, Warner Bros, KFC
এই
সবুগুলোর মালিক আমেরিকান জায়নবাদী, এরা American Israel Public Affairs
Committee এর মাধ্যমে আমেরিকার নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে
যার একটি বড় অংশ হলো ইসরাইওলে আমেরিকার সুরক্ষা দেয়া, প্তির বছর বড় অংকের
আর্থিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান এবং কূটনৈতিকভাবে ইস্রাইলকে পৃথিবীর বুকে
টিকিয়ে রাখা।
টাইমস, ওয়ার্নার ব্রস এবং কেএফসি: মালিকানা, প্রভাব এবং AIPAC-এর সাথে সম্পর্ক (বিস্তারিত)
ভূমিকা:
আপনার প্রশ্নের মধ্যে উল্লেখিত তিনটি সংস্থা - টাইমস, ওয়ার্নার ব্রস এবং কেএফসি - বিভিন্ন মালিকানা কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয় এবং বিভিন্ন মাত্রায় প্রভাব ফেলে।
টাইমস:
মালিকানা: 2014 সালে মেরেডিথ কর্পোরেশন টাইম ইনক. কিনে নেয়।
প্রভাব: টাইমস একটি প্রভাবশালী মিডিয়া সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী পাঠকদের কাছে পৌঁছায়। এটি ইসরায়েল সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে।
AIPAC-এর সাথে সম্পর্ক: টাইমস ম্যাগাজিন AIPAC-এর সমালোচনা করেছে এবং এর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
উদাহরণ: 2021 সালে, টাইমস একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে যেখানে AIPAC-এর লবিং কার্যকলাপ এবং ইসরায়েলী নীতির উপর এর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছিল।
ওয়ার্নার ব্রস:
মালিকানা: 2022 সালে Discovery, Inc. ওয়ার্নারমিডিয়ার বেশিরভাগ অংশ অধিগ্রহণ করে।
প্রভাব: ওয়ার্নার ব্রস. বিশ্বের বৃহত্তম বিনোদন সংস্থাগুলির মধ্যে একটি, যার চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং অন্যান্য মিডিয়া বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছায়। এটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত নিয়ে আলোচনা করে এমন কিছু কাজ তৈরি করেছে।
AIPAC-এর সাথে সম্পর্ক: ওয়ার্নার ব্রস. AIPAC-এর সাথে সরাসরি জড়িত নয়, তবে কিছু কর্মী এবং প্রাক্তন কর্মী সংস্থাটির সমর্থক।
উদাহরণ: 2022 সালে, ওয়ার্নার ব্রস. "Gaza Strip" নামক একটি চলচ্চিত্র প্রকাশ করে যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের সময় গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী একটি ফিলিস্তিনি পরিবারের গল্প বলে।
কেএফসি:
মালিকানা: Yum! Brands, Inc. কেএফসি-র মালিক।
প্রভাব: কেএফসি বিশ্বের বৃহত্তম ফাস্ট ফুড চেইনগুলির মধ্যে একটি, যার রেস্তোরাঁ বিশ্বব্যাপী অবস্থিত।
AIPAC-এর সাথে সম্পর্ক: কেএফসি AIPAC-এর সাথে সরাসরি জড়িত নয়।
উদাহরণ: কেএফসি 2014 সালে ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের সময় মধ্যপ্রাচ্যে কিছু শাখা বন্ধ করেছিল।
AIPAC এর প্রভাব কি?
আপনি American Israel Public Affairs Committee (AIPAC) এর প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। AIPAC একটি শক্তিশালী লবিং গ্রুপ যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে ইসরায়েলের স্বার্থ সমর্থন করতে প্রेरित করে (prerित korē - প্রेरित করে = compels/encourages)।
অর্থায়ন: AIPAC দাতাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এবং এই অর্থ ব্যবহার করে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের লবিং করতে এবং মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য নীতির উপর প্রভাব ফেলতে।
লবিং কার্যকলাপ: AIPAC কংগ্রেস সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে, রাজনৈতিক অবদান দেয় এবং মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পক্ষে প্রचार করে (prachar korē - প্রচার করে = advocates)।
সমালোচনা: কিছু লোক মনে করে AIPAC মার্কিন সরকারের নীতির উপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির ভারসাম্য নষ্ট করে।
AIPAC এবং উল্লিখিত কোম্পানিগুলির মধ্যে সম্পর্ক কি?
আগে উল্লিখিত হয়েছে, এই কোম্পানিগুলির সরাসরি AIPAC-এর সাথে কোনও যোগাযোগ না থাকতে পারে। তবে, AIPAC এর প্রভাব মার্কিন ব্যবসায়িক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এটি পরোক্ষভাবে কোম্পানিগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্কের গুরুত্বের উপর গুরুত্ব দেওয়া একটি শক্তিশালী লবিং গ্রুপ থাকলে, মার্কিন কোম্পানিগুলি ইসরায়েলে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আরও উত্সাহী হতে পারে।
কীভাবে আরও জানতে পারব?
AIPAC: https://www.aipac.org/
মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক: https://www.state.gov/u-s-relations-with-israel-2/
লবিং এর ইতিহাস: https://www.opensecrets.org/influence
উপসংহার:
টাইমস, ওয়ার্নার ব্রস এবং কেএফসি বিভিন্ন মালিকানা কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয় এবং ইসরায়েল বা AIPAC-এর সাথে সরাসরি যুক্ত নাও থাকতে পারে। তবে, বি broader রাজনৈতিক পরিবেশ, যেখানে AIPAC একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এই কোম্পানিগুলিকে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
যতটুকু পারি জোগার করেছি। এবার সিদ্ধান্ত আপনার, কারণ আখিরাতে আল্লাহ আপনাকেই জিজ্ঞেস করবেন "ভাইয়ের রক্ত খেয়েছ কিনা?" যদি আপনি জানার পরো এই পন্যগুলো ক্রয় করেন।
বাংলাদেশে ইসরায়েললি পণ্য নেই এরকম একটা ধারণা শুরু করেন কিছু সংখ্যক ব্লগার। ফেসবুকেও ছড়িয়ে দেয়া হয়।
প্রথমে
যে সস্তা বিভ্রান্তি তারা ছড়ানো শুরু করেছে তা হল ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা
মার্ক জুকারবার্গ নিজেই একজন ইহুদী। অতএব আমাদের ফেসবুকই বর্জন করতে হবে। অথচ
উইকিপিডিয়া বা যে কোন ভাল সাইটে খোজ নিলেই দেখবেন যে সে একজন
এথিষ্ট। তারচেয়ে বড় কথা,ফেসবুক ইজরাইলে কোন ডোনেশন দেয় না।
এখন আপনারাই বলেন আমরা মুসলিমরা এমনিতেই মিডিয়া সাপোর্ট পাই না,এই সোশ্যাল মিডিয়াও যদি ছেড়ে দেই তবে লাভটা কার??
তারপর
একই গোত্রীয় কিছু পেজ ও ব্লগার বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিষ্ঠার সাল ও
মালিকানা উল্লেখ করে বলছে এরা নাকি ইজরাইলী না। ইজরাইলী পন্য নাকি বাংলাদেশে
ঢুকতে পারে না।
এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কিছুই হতে পারে
না। ইজরাইলী পন্য WTO এর ২০০০ সালের চুক্তির সুবিধা নিয়ে মিডিয়াম ব্যবহার
করে সহজেই যে কোন WTO ভুক্ত দেশে প্রবেশ করতে পারে।একটা কোম্পানীর মালিকানা
ইজরাইলী হলেও কিছু আসে যায় না যদি তা ইজরাইলে ডোনেশন না দেয়।যেমন ডিজনি ও
নোকিয়া (অনেকে নোকিয়া ফিনিশ পন্য বলে চালানোর চেষ্টা করেন,আসলে এটি ফিনিশ
মালিকানার কাভারে অধিকাংশ ইজরাইলী শেয়ারহোল্ডার নিয়ে গঠিত একটি কোম্পানী)
আমরা
যে পন্যগুলো বর্জন করার ডাক তাদের প্রত্যেকটিই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে
ইজরাইলে ডোনেট করে। এদের টাকায় আমাদের ভাইদের মারার জন্যে বুলেট,মিসাইল
বানানো হচ্ছে।
আমাদের মূল হিসাবটাই এখানে, কে ইজরাইলকে টাকা দেয় আর কে দেয় না। নেটে একটু ঘাটাঘাটি করলেই এগুলো সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যাবে।
আর যে যতই প্ল্যান করুক আল্লাহ সব থেকে শ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী,
আমার প্রেরিত বান্দাদেরকে আমি আগেই, প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করা হবে৷ অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করা হবে এবং আমার অনুগত দলই বিজয়ী হবে৷সূরা সফফাত ১৭১-১৭৩
এবং এইভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দেই, যে বাড়াবাড়ি করে ও তার প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস স্থাপন করে না। পরকালের শাস্তি অবশ্যই কঠোরতর ও স্থায়ী।সূরা ত্বোয়া-হাঃ ১২৭
আল্লাহু আ'লাম। আল্লাহ আমাদের নির্যাতিত ভাই বোনদের রক্ষা করুন, আমীন।
