বিদায়ের প্রহর গুনছে আফতাবের এইচএসসি ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার্স: বিদায়ের প্রহর গুনছে আফতাব উদ্দিন স্কুল এ্যান্ড কলেজের এইচএসসি ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।“চিরন্তন সত্য হলোঃ কোন কিছু শুরু করতে হলে কোন কিছু কে বিদায় দিতেই হয় ।”আমাদের সকলের কোননা কোনো বন্ধু অবশ্যই থাকে। বন্ধু ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। বন্ধুত্ব একটি নিঃস্বার্থ সম্পর্কের নাম। একটি ভালোবাসার নাম। এটি এমন একটি সম্পর্ক জীবনের যেকোনো মুহূর্তে আপনাকে একা ছাড়বে না। একজন ভালো বন্ধু জীবনে ছায়ার মতো থাকে। আপনাকে জীবনে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। আপনার ভালো কাজে যেমন আপনার পাশে থাকে ঠিক তেমনি আপনার মন্দ কাজে আপনাকে দূরে সরিয়ে রাখে। একটি বটবৃক্ষের মতো বন্ধু দাঁড়িয়ে থাকে আপনার পাশে আপনাকে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দেবার জন্য। সেই বন্ধুদেরই আজ বিদায় জানাতে হবে।
"আপনি যদি বিদায় জানাতে যথেষ্ট সাহসী হন তবে জীবন আপনাকে নতুন কিছু দিয়ে পুরস্কৃত করবে”।“বিদায় যদিও কষ্টের, তারপরও সবকিছুকেই একদিন বিদায় দিতে হয় ।”আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভাগ্যবান আমি আমার কলেজ জীবনে এমন কিছু বন্ধুর সাহায্য পেয়েছি, যারা আমাকে সবসময় ভালোবাসা দিয়ে, মায়া মমতা দিয়ে আগলিয়ে রেখেছে। কলেজের প্রথম দিন থেকে আমি খুব অসহায় ছিলাম। কারণ আমার তেমন কোনো বন্ধু ছিল না। আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর স্মৃতি কাটিয়েছি তাদের সাথে। একসাথে পড়াশোনা ,একসাথে আড্ডাবাজি,একসাথে ঘুরে বেড়ানো সেই স্মৃতি আমি কোনোদিন ভুলতে পারবোনা। তোদের নিয়ে হুট করে সবাই পুরো ক্লাস একদিনের জন্য খালি রেখে সিতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ঘুরতে যাওয়া জীবনে কোনোদিনও ভুলে যাওয়া আদৌও সম্ভব না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে কলেজ জীবন টা শেষ হয়ে গেলো রে! একসাথে হাসি ঠাট্টা এবং আনন্দ করতে করতে কখন যে সময় কেটে যায় তা চিন্তায় করা যায় না।বিশ্বাস কর তোরা চলে যাবার পর আমি খুব একা হয়ে যাবো রে। কলেজে আর যাওয়া হবে না ভাবতেই কেমন জানি লাগে। তোদের ছাড়া তো কিছুই ভালো লাগবেনা। সত্যিইকারের বন্ধুত্ব গুলো আসলে কোনোদিন ভোলা যায় না।পাচঁটি বছর ছিলার এই স্কুল এ্যান্ড কলেজের স্কুল জীবনে! আর ১৪ মাস কলেজে জীবনে! একই বন্ধনে কাটিয়ে আজ বিদায় জানানোর সময় হয়ে আসছে। ভালো থাকিস বন্ধুরা!সময়ে-অসময়ে একটু খবর রাখিস।পাচঁটি বছর এক সঙ্গে কাটিয়ে আজ যে বিদায় এসে কড়া নাড়ছে।এসে যাচ্ছে যে বিদায়বেলা! আজ বিদায় জানাতে হবে ক্যাম্পাস, ক্লাস আর প্রিয় মুখগুলোকে। ইচ্ছে হলেও যে আর সেই ক্লাসরুম, এলোমেলো দুষ্টুমিগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না।মধুময় দিনগুলো হয়তো স্মৃতি হয়ে হৃদয়ের ফ্রেমে বাঁধা থাকবে, স্মরণীয় হয়ে থাকবে একসঙ্গে কাটানো আনন্দ-উচ্ছ্বাস গুলো।তোদের ছেড়ে থাকতে হবে ভেবেই বারবার কেঁদে উঠছে আমার এ হৃদয়। প্রিয় মুখগুলোকে বিদায় জানাতে হবে ভেবেই অনেক কষ্ট হচ্ছে।‘বিদায়ের কথা শুনলেই সবকিছু যেন থমকে দাঁড়ায়।''মনে হচ্ছে এই তো সেদিন এলাম, আর ক’টা দিন বেশি থাকতে পারলে…!’ সাত বছর একসঙ্গে থাকা একটা পরিবার ছেড়ে দিতে হবে! অটোতে কিংবা সাইকেলে করে প্রতিদিন ভাগলপুর যাওয়ার সেই চিরচেনা রাস্তা খুব মিস করবো। মিস করব ক্লাসে কাটানো মজার স্মৃতিগুলো। প্রিয় জুনিয়রদের কথা মনে পড়বে অনেক। সারাদিনের বেশিরভাগ সময় যে রুমে কাটিয়েছি সেই রুম এবং ক্লাস টেস্ট, এক্সাম, প্রেজেন্টেশন মিস করব সব সময়।খুব মনে পড়বে আড্ডাবাজী, অপরের সঙ্গে কাটানো চিরচেনা সময়গুলো। বিদায়বেলায় নেওয়া বা দেওয়ার কিছু নেই। তবুও আজ যে সময় হয়ে আসছে প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে পার করে আসা স্মৃতিগুলো মনের কোনো এক বিশেষ কুঠিরে আবদ্ধ করে রাখার।শেষ হয় বিদায় মুহূর্ত, রয়ে যায় স্মৃতি নীরব কোনো বন্ধনে।✍️ Moshiur Rahman Atik
পরবর্তী পোষ্ট পূর্ববর্তী পোষ্ট