কাদিয়ানীদের পণ্য কোনগুলো? কাদিয়ানীদের পণ্য তালিকা
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ যে কাদিয়ানি মালিকানাধীন তা দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না। যেহেতেু কাদিয়ানিরা শেষ নবী হিসেবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মানে না, তাই তারা কাফের। সুতরাং কাদিয়ানিদের অর্থায়নকারী ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে প্রাণ-আর এফএলের পণ্য বর্জন করতে হবে।
আর ৫ ডিসেম্বর ২০২০ কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকীতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে তারা কাদিয়ানিদের পৃষ্ঠপোষক, অর্থায়নকারী। সুতরাং তাদের মালিকানাধীন প্রাণ-আরএফএলের পণ্য মুসলমানদের বর্জন করতে হবে।
বকশিকাজারে কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান, ছবি: সংগৃহীত |
প্রথমে আমরা প্রাণ ও আরএফএল কোম্পানির সকল পণ্যের তালিকা দেখবো। এরপর আমরা এটি বর্জন করা কি জন্য প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানব।
প্রাণ ও আরএফএল এর কয়েকটি কমন সিস্টার কনসার্নের নামঃ
- অলটাইম (ফুড আইটেম)
- বিজলি (ইলেক্ট্রিক তার)
- রংধনু (রঙ)
- মিঠাই (মিস্টি)
- টেস্টি ট্রিট (বেকারী আইটেম)
- ক্লিক (ইলেক্ট্রিক প্রোডাক্ট)
- Regal (ফার্নিচার)
- Best Buy (প্লাস্টিক আইটেম)
- কসমিক (দরজা)
- সেরা (ওয়াটার ট্যাংক)
- Shine (স্যানিটারি প্রোডাক্ট)
- গুডলাক (ষ্টেশনারী-কলম, পেন্সিল,ইরেজার ইত্যাদি)
- Walker Footwear (জুতা)
- প্রাণ আপ (সফট ডিংক্স)
- প্রাণ জুস, প্রাণ ম্যাংগো জুস, প্রাণ লাচ্ছি,প্রাণ লিচি
- Play Time (খেলনা)
এবার আসুন আমরা প্রাণ ও আর এফএলএর গুণগত মান ও এটি কেন বর্জন করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করি।
প্রাণ-আরএফএল-এর উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানও ঠিক নেই। এমনকি তা জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বিএসটিআই গুণগত মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করতে না পারায় যে ৩১ কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের সিএম লাইসেন্স বাতিল করে, ওই তালিকায় প্রাণের ৮টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। প্রাণের কথিত কোমল পানীয়, জুস, মসলার গুণগত মান ঠিক নেই। এসব জনস্বাস্থ্যের জন্যও নিরাপদ নয়। প্রাণের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্য প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু প্রচার-প্রসারে শীর্ষে রয়েছে কাদিয়ানিদের এ প্রতিষ্ঠান।
বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি যেভাবে প্রাণ ও আরএফএল কোম্পানি ক্ষুন্ন করছে
প্রাণের পণ্যে ইঁদুরের বিষ্ঠা পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইতালি। প্রাণের পণ্যে ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ ভাইরাস (খুরারোগ) ও পোকামাকড়ের উপস্থিতি থাকায় ২০১৪ সালের শেষের দিকে কানাডা থেকে ফেরত আসে। ফলে প্রশ্নে মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের, বিষয়টি দেশের জন্যও লজ্জার।
বিগত অর্থবছরসমূহে প্রায় ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে কোম্পানিটি।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে দেশে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য বাজারজাত করছে প্রাণ। তবে নানা সময় তাদের উৎপাদিত পণ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর ভাইরাস পাওয়া গেছে। ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পণ্য উৎপাদন করে প্রাণ গ্রুপ দেশ-বিদেশের ভোক্তাদের ধোঁকা দিচ্ছে।
হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।’
পৃথিবীর প্রায় মুসলিম প্রধান দেশেই কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে তারা মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী নানা কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিয়ে ইসলামি পরিভাষাসমূহ ব্যবহার করছে।
সমপর্যায়ের মানগত অন্য পণ্য বাজারে বিদ্যমান থাকাবস্থায় প্রাণ-আরএফএল-এর মালিকানাধীন কোম্পানির পণ্য ব্যবহার ও ক্রয় জায়েজ নয়। যেহেতু এটা প্রমাণিত যে, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মালিক বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের অর্থ যোগানদাতা। আর কাদিয়ানিরা মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির পণ্য ক্রয় করা জায়েজ নয়।
আমাদের উচিত কাদিয়ানিদের ‘কাদিয়ানি মুসলিম’ কিংবা ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ বলে সম্বোধন না করে সরাসরি ‘কাদিয়ানি জামাত’ সম্বোধন করা।
কাদিয়ানিদের মুসলিম বলার কোনো সুযোগ নেই। ইসলামে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম পালনে বাধা প্রদান করা হয় না। যদি তারা ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতি না করে। কিন্তু ইসলামের নামে কেউ যদি অপপ্রচার চালায় এবং ইসলামের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে, সেটা সমর্থন করে না। কাদিয়ানিরা সেটা করছে, তাই মুসলমানরা কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানায়।