টিয়ার শেল কিংবা রাবার বুলেটে আক্রান্ত হলে করনীয়

কোন গোলযোগ দমনে কাঁদানে গ্যাসের (টিয়ার শেল) ব্যবহার প্রচলিত। চলমান কোটা আন্দোলনের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কুমিল্লায় “বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি ঘিরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় টিয়ার শেল বা কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই)- এর "সাংবাদিকতায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা" নামের একটি ম্যানুয়াল আছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাধারণত পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই ধরনের কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। একটি স্প্রে এবং অপরটি বিশেষ ধরনের বন্দুকের মাধ্যমে ছোড়া গ্রেনেড- ক্যানিস্টার।

টিয়ার শেল কিংবা রাবার বুলেটে আক্রান্ত হলে করনীয়

টিয়ার গ্যাসে আক্রান্ত হলে করণীয়:

প্রথম পদক্ষেপ:

  • আক্রান্ত স্থান থেকে দ্রুত সরে যান: টিয়ার গ্যাসের প্রভাবে ত্বকে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও চোখে সমস্যা হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব টিয়ার গ্যাস আক্রান্ত স্থান থেকে সরে যেতে হবে।
  • বাতাসের দিকে মুখ করুন: বাতাসের প্রবাহে টিয়ার গ্যাস আপনার পেছনে চলে যাবে, ফলে চোখ ও মুখ কিছুটা রক্ষা পাবে।

নিজেকে পরিষ্কার করুন:

  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন: চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। খেয়াল রাখবেন, ধুয়ে ফেলা পানি যেন মুখ ও শরীরে না লাগে।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ও পোশাক ধুয়ে ফেলুন: গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ গরম পানি লোমকূপ বড় করে টিয়ার গ্যাসের রাসায়নিক পদার্থ শরীরে আরও বেশি প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
  • গোসল করবেন না: টিয়ার গ্যাসের প্রভাব সম্পূর্ণ না যাওয়া পর্যন্ত গোসল করা উচিত নয়।

চিকিৎসা সহায়তা:

  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: টিয়ার গ্যাসের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হলে অথবা তীব্র হলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

মনে রাখবেন:

  • টিয়ার গ্যাস প্রাণঘাতক নয়, তবে তা ত্বকে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • ঠান্ডা পানি টিয়ার গ্যাসের প্রাথমিক প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
  • তীব্র অস্বস্তি হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

অতিরিক্ত তথ্য:

  • টিয়ার গ্যাস বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি, যার মধ্যে রয়েছে کلروبنزیل مالونونitrile (CB) এবং 2-chlorobenzalmalononitrile (OC)।
  • এই রাসায়নিকগুলি চোখ, মুখ, শ্বাসযন্ত্র ও ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।
  • টিয়ার গ্যাসের প্রভাবে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, বুকে ব্যথা ও প্যানিক এটাকও হতে পারে।

উৎস:


টিয়ার শেল কিংবা রাবার বুলেটে আক্রান্ত হলে করণীয়:

প্রথম পদক্ষেপ:

  • নিরাপদ স্থানে যান: টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট গুরুতর আঘাত করতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে যেতে হবে।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করুন: আহত ব্যক্তির রক্তপাত বন্ধ করুন এবং প্রয়োজনে ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।
  • চিকিৎসা সহায়তা নিন: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

টিয়ার শেলের প্রভাব:

  • টিয়ার শেল ফেটে টিয়ার গ্যাস ছড়িয়ে দেয়।
  • টিয়ার গ্যাসে চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও প্যানিক এটাক হতে পারে।
  • টিয়ার শেলের বিস্ফোরণে আঘাতও লাগতে পারে।

রাবার বুলেটের প্রভাব:

  • রাবার বুলেট গুরুতর আঘাত করতে পারে, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
  • রাবার বুলেটের আঘাতে হাড় ভাঙা, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ও অঙ্গহানির ঝুঁকি থাকে।

চিকিৎসা:

  • টিয়ার গ্যাসের প্রভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ও পোশাক ধুয়ে ফেলুন।
  • রাবার বুলেটের আঘাতের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

মনে রাখবেন:

  • টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।
  • আক্রান্ত হলে দ্রুত সাহায্য নিন।

অতিরিক্ত তথ্য:

  • টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট বিভিন্ন ধরণের বিক্ষোভ ও দাঙ্গায় ব্যবহৃত হয়।
  • এই অস্ত্রগুলির ব্যবহার বিতর্কিত এবং এর ফলে অনেক মানুষ আহত ও নিহত হয়েছে।

উৎস:

পরবর্তী পোষ্ট পূর্ববর্তী পোষ্ট

নিউজলেটার

প্রশ্ন করো দ্বিধাহীন, জবাব পাবে প্রতিদিন

Copyright

প্রশ্ন ১: আপনি কোন বিষয়গুলোতে সাহায্য করেন?
উত্তর: আমি বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিষয়, প্রযুক্তি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এবং অন্যান্য সাধারণ জ্ঞানের বিষয়গুলোতে সাহায্য করি।
প্রশ্ন ২: আপনি কিভাবে যোগাযোগ করবেন?
উত্তর: আপনি আমার ওয়েবসাইটের যোগাযোগ ফর্মের মাধ্যমে বা আমার ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রশ্ন ৩: আমি কিভাবে নতুন প্রশ্ন যোগ করতে পারি?
উত্তর: আপনি আমাদের ফিডব্যাক ফর্মের মাধ্যমে নতুন প্রশ্ন পাঠাতে পারেন।
প্রশ্ন ৪: আপনারা কি লাইভ চ্যাট সাপোর্ট দেন?
উত্তর: হ্যাঁ, আমরা ২৪/৭ লাইভ চ্যাট সাপোর্ট প্রদান করি।