আল ইসলাহ ইসলামী পাঠাগার এর শুভ উদ্ভোদন ঘোষণা
আলহামদুলিল্লাহ্!! আমাদের সকলের প্রাণের প্রিয় সামাজিক সংগঠন আল ইসলামী সংগঠন এর তত্ত্বাবধানে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য পাবলিক লাইব্রেরী আল ইসলাহ ইসলামী পাঠাগার এর শুভ উদ্ভোদন ঘোষণা করা হলো।।
সংগঠন এর নানা কল্যানমূখী প্রচেষ্টার অংশ ছিলো এটি। আশা করি বিনামূল্যে বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের সমাজ জ্ঞান বিজ্ঞানের নানা পর্যায় থেকে নিজের আত্মশুদ্ধি ও ইসলামের সুমহান সার্থ রক্ষায় কাজ করতে সচেষ্ট থাকবে। সেই পথ সুগম করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি এই পাঠাগার।
প্রায় তিন বছর আগে নেওয়া উদ্যোগ এতোদিনে সার্থক হওয়ায় মহান রবের দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।।
ইসলামী সভ্যতার এক প্রোজ্বল দৃষ্টান্ত লাইব্রেরি ব্যবস্থা। এটা কেবল সভ্যতারই অংশ নয়, শিল্পও বটে। এর মাধ্যমে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষিত হয়। জানা যায় বিভিন্ন জাতির দান-অবদান। এজন্য ইসলামের সূচনা-কাল থেকেই মুসলমানরা লাইব্রেরি ব্যবস্থার প্রতি ছিল বড় যত্নবান। আমির-সুলতান থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণও লাইব্রেরির প্রতি খুব আগ্রহী ছিল। ফলে মুসলমানদের ঘরে ঘরে গড়ে উঠেছিল বহু লাইব্রেরি। সেগুলো ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বই-পুস্তকে পরিপুষ্ট।
পাঠাগারগুলোর সমৃদ্ধি একটি ঘটনা থেকে সহজেই অনুমান করা যায়। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহি আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘সুলতান সালাহ উদ্দিন আইয়ুবীর এক সচীব একবার এক লক্ষ কিতাব একসাথে সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু এতে সুলতান-সভাসদদের থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণেরও কেউ অবাক হয়নি। বরং সবাই আশ্চর্য হয়েছিল কিতাব-স্বল্পতায়। তাদের কাছে এক লক্ষ কিতাব সংগ্রহ নিতান্তই সাধারণ মনে হয়েছে।’ লক্ষ কিতাবের বিশাল সম্ভার যাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করতে পারেনি, তাদের পাঠাগারের সমৃদ্ধি আপনি সহজেই অনুমান করে নিতে পারবেন।।
পরিশেষে দ্বীনের এ খেদমতে যারা সবসময় পাশে থেকেছেন সকলের প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ ও অন্তরের গভীর থেকে ভালোবাসা রইলো।।