কয়টি সিম কেনা যাবে নিজের নামে?


মোবাইল ফোনের প্রাণ সিম কার্ড। এই সিম কার্ড দিয়েই মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা যায়। ছোট্ট এই চিপের মাধ্যমেই কল-বার্তা আদান-প্রদান করা যায়। ব্যবহার করা মোবাইল ইন্টারনেটও।


সিম কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা রয়েছে। অর্থাৎ একজন গ্রাহক কয়টি সিম কিনতে পারবেন তা এই নীতিমালায় স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে। জানুন নিজের নামে কয়টি সিম রাখতে পারবেন?


বাংলাদেশে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

এই নিয়মটি ২০২১ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি) কর্তৃক প্রণীত "মোবাইল ফোন সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ও সিম ব্লকিং বিধিমালা, ২০২১" অনুযায়ী প্রবর্তিত হয়েছে।

কিভাবে জানবেন আপনার নামে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন আছে?

  • এসএমএস: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID) লিখে ৪৯৪৯ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে আপনি জানতে পারবেন আপনার নামে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন আছে। এসএমএসটির বিন্যাস হবে: "info NID <ন্যাশনাল আইডি নম্বর>"।
  • অনলাইন: https://educationsinbd.com/btrc-sim-registration-check-online/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার NID ব্যবহার করে আপনি আপনার রেজিস্ট্রেশন করা সিমগুলির তালিকা দেখতে পারবেন।
  • বিটিআরসি অফিস: আপনি নিকটতম বিটিআরসি অফিসে গিয়েও আপনার রেজিস্ট্রেশন করা সিমগুলির তালিকা জানতে পারেন।

অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল:

আপনি যদি মনে করেন যে আপনার নামে অতিরিক্ত সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে, তাহলে আপনি সেগুলো বাতিল করতে পারেন।

  • অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার: আপনার অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে আপনি অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করতে পারেন।
  • বিটিআরসি অফিস: আপনি নিকটতম বিটিআরসি অফিসে গিয়েও অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করতে পারেন।

সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার উপায়:

যেকোনো অপারেটরের (গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক) সিম ব্যবহার করে আপনি নিজের নামে কতগুলো সিম নিবন্ধিত আছে তা নিখুঁতভাবে জানতে পারবেন। এজন্য কোনো টাকাও লাগবে না

প্রক্রিয়া:

  1. মোবাইল ফোন থেকে *16001# ডায়াল করুন।
  2. একটি এসএমএস আসবে যেখানে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে।
  3. সেই এসএমএসে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা লিখে পাঠিয়ে দিন।দ্রষ্টব্য: যে সিম থেকে আপনি জানতে চাচ্ছেন অথবা কোডটি ডায়াল করছেন সেই সিমটি অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।
  4. একটি প্রত্যুত্তর এসএমএস আসবে যেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সকল সিম নম্বরের তালিকা দেওয়া থাকবে।
দ্রষ্টব্য: তালিকাভুক্ত নম্বরগুলো পুরোপুরি দেখানো হবে না। প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিনটি ও শেষের তিনটি সংখ্যা দেখানো হবে।

উদাহরণ:

মনে করুন, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর 1234567890। আপনি *16001# ডায়াল করে এবং শেষের চারটি সংখ্যা (890) পাঠিয়ে দিলে, আপনাকে একটি এসএমএস পাঠানো হবে যেখানে দেখানো হবে:

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (1234567890) দিয়ে নিম্নলিখিত সিম নম্বরগুলো রেজিস্ট্রেশন করা আছে:
0171234567
0181234567
0191234567

মনে রাখবেন:

  • এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি যে তথ্য পাবেন তা 2024 সালের 1লা জুলাই পর্যন্ত আপডেট করা থাকবে।
  • যদি আপনার মনে হয় যে আপনার নামে আরও বেশি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে, তাহলে আপনি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিটিআরসি) সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

বিটিআরসির সাথে যোগাযোগের তথ্য:


মনে রাখবেন:

  • একটি সিম বাতিল করার পরেও, আপনি সেই নম্বরটি আবার ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • যদি আপনি মনে করেন যে আপনার সিমটি ভুলভাবে ব্লক করা হয়েছে, তাহলে আপনি আপনার অপারেটরের কাছে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন।

আরও তথ্যের জন্য:


পরবর্তী পোষ্ট পূর্ববর্তী পোষ্ট