ব্রেকিং! মাওলানা মামুনুল হক (হাফি:) কারামুক্ত হয়েছেন!

মাওলানা মামুনুল হক হাফিজাহুল্লাহ্ কারামুক্ত। হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে মুক্তি পান তিনি।

মুক্তি পাওয়ার পর সর্ব প্রথম মাওলানা মামুনুল হক সাহেবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী দা.বা. (শাইখে দেওয়া)
মাত্র মুক্তি পাওয়ার পর সর্ব প্রথম মাওলানা মামুনুল হক সাহেবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী দা.বা. (শাইখে দেওয়া)

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন।

সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।  
তবে বৃহস্পতিবার আইনি জটিলতায় আটকে যায় এ হেফাজত নেতার মুক্তি।



মুক্তি প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত টিমের অদক্ষতাই দায়ী। তারা কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেননি। তাদের মধ্যে যুগপৎ সরলতা অতিউৎসাহ আর আনাড়িপনা পরিলক্ষিত ছিলো। 
মাওলানা গুনবি, আমীর হামযাহ্ আর রফিক মাদানির সমর্থকগোষ্ঠীওতো সংখ্যায় কম ছিলোনা। তাদেরকে অযাচিত উন্মাদনার সুযোগ দেওয়া হয়নি। 
বিষয়টি শাইখ আল্লামা মামুনুল হকের মুক্তি প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট টিমের সদস্যদের ভাবার অনুরোধ রইলো। 

দায় শুধু উপচে পড়া উৎসুক জনতা আর কতিপয় বসন্তের কুকিলের উপর দিয়ে লাভ নেই।



মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা থাকায় সব মামলার জামিনের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা সম্ভব হয়নি বলে রাতে মুক্তি মেলেনি, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছিলেন সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।  


২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে এসব মামলার মধ্যে ৩৬টিতে আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন।

Source: আল কুরআনের দারস


পরবর্তী পোষ্ট পূর্ববর্তী পোষ্ট